এক দল লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে, আরেক দলের অবস্থান পাঁচে। তবে মাঠের লড়াইয়ে পার্থক্য বুঝতে দিলো না অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত সমানে সমান লড়াই করে আট গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিয়েছে তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত ৫-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছে রিয়াল। পৌছে গেছে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে রিয়াদের কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে সেমি-ফাইনালে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় অ্যাথলেটিকো। সপ্তম মিনিটে অ্যান্তোনিও গ্রিজমানের কর্নারে লাফিয়ে উঠে আড়াআড়ি হেডে জাল খুঁজে নেন মারিও হেরমোসো। পিছিয়ে পড়ে যেন জেগে ওঠে রিয়াল।

তবে আক্রমণ করেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না দলটি। বিপরীতে অষ্টাদশ মিনিটে রিয়ালের পোস্ট কাঁপিয়ে দেন আলভারো মোরাতা। দুই মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে জুড বেলিংহ্যামের শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। এই বলেই কর্নার পায় রিয়াল। লুকা মদ্রিচের সেই কর্নার থেকেই চমৎকার হেডে সমতা ফেরান অ্যান্তোনিও রুডিগার।

সমতায় ফিরিয়েই জেগে ওঠে রিয়াল। ৩০তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। দানি কারভাহালের নিচু ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে আলতো টোকায় দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান ফেরল্যান্ড মেন্ডি। তিন মিনিট পর পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে সহজ সুযোগ মিস করেন গ্রিজম্যান।

অবশেষে ৩৭তম মিনিটে জাল খুঁজে নেন ফরাসি তারকা। রদ্রিগো ডি পলের কাছ থেকে বল পেয়ে কয়েকজনকে এড়িয়ে নিখুঁত শটে স্কোরলাইন ২-২ করেন গ্রিজম্যান। পিছিয়ে পড়েও দারুণ কামব্যাকে সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্রথমার্ধের পুনরাবৃত্তি। এবার দায়টা রিয়াল গোলরক্ষক কেপার। ৭৮ মিনিটের মাথায় একটি ক্রস বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন গোলরক্ষক। কিন্তু মোরাতার চ্যালেঞ্জের মুখে ঠিকমতো পারেননি। কেপার হাত ফসকে বল রুডিগারের গায়ে লেগে জড়ায় জালে!

৮৫তম মিনিটে ফের সমতা টানে রিয়াল। ভিনিসিউসের শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ওবলাক। বেলিংহ্যামের দুটি চেষ্টাও গোললাইনের সামনে প্রতিহত হয়। কিন্তু ফিরতি বলে কারভাহালের বুলেট গতির শটের জবাবে কিছু করার ছিলো না অ্যাথলেটিকো গোলরক্ষকের।

নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ ব্যবধানে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তাতে সৌভাগ্যের এক গোলে ১১৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। কারভাহালের ক্রসে হোসেলু ঠিক মতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। কিন্তু তার পাশেই থাকা সাভিচের পায়ে লেগে বল জড়ায় জালে।

শেষদিকে আক্রমণের নেশায় পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা অ্যাথলেটিকো আরেক ভুল করে বসে। এবার দায় তাদের গোলরক্ষকের। কর্নারের সময় তাদের গোলরক্ষকও চলে এসেছিলেন রিয়ালের ডি-বক্সে। এই সুযোগে দারুণ গতিতে প্রতি-আক্রমণে ছুটে গিয়ে ব্যবধান বাড়ান ব্রাহিম দিয়াস।

আগামী রোববারের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শুক্রবার রাতে বার্সেলোনা ও ওসাসুনার লড়াইয়ে জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বে রিয়াল।